নিজস্ব প্রতিবেদক – The Daily Cumilla https://thedailycumilla.com Sat, 09 Dec 2023 19:02:45 +0000 bn-BD hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.2 https://thedailycumilla.com/wp-content/uploads/2023/12/cropped-Icon-03-32x32.png নিজস্ব প্রতিবেদক – The Daily Cumilla https://thedailycumilla.com 32 32 কুমিল্লার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে https://thedailycumilla.com/?p=1049 Sat, 09 Dec 2023 19:02:43 +0000 https://thedailycumilla.com/?p=1049 গত শুক্রবার কুমিল্লার বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়- একদিনের ব্যবধানে শনিবার বিকেলে সেই পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি ধরে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবর প্রকাশ হওয়ার পর একদিনের ব্যবধানে কুমিল্লার বাজারে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন পেঁয়াজ। তাদের এ প্রবণতা ঠেকাতে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা দরকার।

নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০টাকা


শনিবার (৯ ডিসেম্বর) কুমিল্লা রাজগঞ্জ বাজার, নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০টাকা। কেউ কেউ এর থেকে বেশি দামেও বিক্রি করছে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা সোহাগ বলেন, পাইকারি বাজারে কোনো পেঁয়াজ নেই, ভারত পেঁয়াজ আমদানি করা বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে পেয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে। আমরা বিক্রেতারা আজকে পেয়াজ আনতে গিয়ে হতাশ হয়ে গেলাম শুক্রবারে পাইকারি বাজারে গিয়ে ১০৫ টাকা করে পেঁয়াজ কিনলাম আজকে গিয়ে ১৬০ -১৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, সকালবেলা ১৬০-১৭০ টাকা দরে চকবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করেছে পাইকারী ব্যবসায়ীরা। বিকেলবেলা গিয়ে দেখি ২০০টাকা চায়। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোন সিলিপ দিতে চায় না। তাই আজকে আমি পেঁয়াজ বিক্রি করা বন্ধ রেখেছি।
অন্যাদিকে হঠাৎ করে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বাজারে গিয়ে দেখা গিয়েছে অনেক পেঁয়াজ কিনতে এসে পেঁয়াজের দাম শুনে না কিনে চলে যাচ্ছে।।
পেঁয়াজ কিনতে এসে খোকন বলেন, প্রতি কেজি ২০০ টাকা দামে পেঁয়াজ কিনে খাওয়াটা অসম্ভব। আগে পেঁয়াজ কিনতাম প্রতি কেজি ১১০ টাকায় আজকে ২০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে শুনে আমি আর কিনি নাই। এখন হয়তো কয়েকদিন পেঁয়াজ ছাড়া না খেয়ে থাকতে হবে।
ক্রেতা হিজবুল্লাহ বলেন, পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । যদি এই অবস্থা চলে তাহলে আমাদের মত সাধারন মানুষরা পেঁয়াজ কিনে খেতে খুব কষ্ট হবে । গতকাল পেঁয়াজের ১৩০ করে বিক্রি হয়েছে আজ ২০০ করে বিক্রি হচ্ছে নির্বাচনের আগে যদি এই অবস্থা হয় নির্বাচন চলকালীন কি হবে। যদি প্রশাসনের পেঁয়াজের দামের বিষয় কঠোর নজরদারি করে তাহলে হয়তো কিছুটা দাম কমবে।

]]>
বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী https://thedailycumilla.com/?p=1045 Sat, 09 Dec 2023 18:46:26 +0000 https://thedailycumilla.com/?p=1045 বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অনেক অবদান আছে। তারা যেমন ট্রেনিংয়ে গেছে, তেমনি যুদ্ধক্ষেত্রেও সহযোগিতা করেছে। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নানা নির্যাতনের শিকার হন। অনেকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া নিজের স্বামীর নামে স্কুল করেছেন। সেখানে ছাত্রী পাওয়া যেত না। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করতেন। সেখানেও নানা বাধার সম্মুখীন হন। তিনি তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, যাহা পুরুষ পারিবে, তাহা নারীও পারিবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমলে নারীদের অনেক বাধা ছিল। সেসময় নারীদের কর্মক্ষেত্রে কোনো সুযোগ দিতো না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মুজিব নারীদের সে সুযোগ দিয়েছেন। আইনেই ছিল জুডিসিয়ারিতে মেয়েরা যোগ দিতে পারবে না। জাতির পিতা আইন পরিবর্তন করেন। পরে আমি এসে এটির পথ আরও সুগম করে দেই। নাজমুন আরা আপিল বিভাগেও যান। আমার একটা আফসোস রয়ে গেছে, আমার ইচ্ছে ছিল, প্রধান বিচারপতিও নারীকে করবো। পারিনি।

তিনি বলেন, আমি চাই নারী স্বাবলম্বী হোক। নারীরা স্বাবলম্বী হলে পরিবার ও সমাজে তার অবস্থান সুদৃঢ় হয়। সব জায়গায় তার কথার মূল্যায়ন হয়। আমরা বলতে পারি, এরই মধ্যে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ করতে পেরেছি।

নিজের মায়ের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবার বেশির ভাগ সময় জেলে ছিলেন। সংসার চালানো, দল সুসংগঠিত করাসহ সব কাজই আমার মা করেছেন।

মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এবার বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন ৫ নারী। তারা হলেন নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)।

]]>
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন–দৌড়ে ঢাকার দুই সিটির অন্তত ১২ কাউন্সিলর https://thedailycumilla.com/?p=885 https://thedailycumilla.com/?p=885#respond Thu, 23 Nov 2023 07:01:12 +0000 http://tdi_197_af8 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-দৌড়ে আছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

ক্ষমতাসীন দলটির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন, ঢাকার ২ সিটির এমন অন্তত ১২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তথ্য জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের একজন নারী কাউন্সিলরও আছেন।

গতকাল মঙ্গলবার ছিল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩৬২ টি। প্রতি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে গড়ে ১১ জন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ঢাকার ২ সিটির ১২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজধানীর ৭টি সংসদীয় আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়ে জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার পাঁচটি সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ওয়ার্ড কাউন্সিলর নয়জন। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার দুটি সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন চান তিন ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

ওয়ার্ড পর্যায়ের এসব জনপ্রতিনিধিদের বেশির ভাগ বলেছেন, তাঁরা আরও বড় পরিসরে জনসেবা করতে চান। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের জাতীয় সংসদে দেখতে চান। কেউ কেউ আবার বলেছেন, সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে তাঁরা দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়ে জমা দিয়েছেন।

ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান দক্ষিণ সিটির ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জাপা) সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

]]>
https://thedailycumilla.com/?feed=rss2&p=885 0
অসময়ের বৃষ্টিতে মাথায় হাত কৃষকের https://thedailycumilla.com/?p=869 Thu, 23 Nov 2023 01:01:12 +0000 http://tdi_189_865
অসময়ের বৃষ্টিতে পানি জমেছে ক্ষেতে। ছবি: সংগৃহীত

অগ্রহায়ণের শেষ সময়ে এমন বৃষ্টি খুব কমই দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সারাদিন রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশের আকাশ ছাওয়া ছিল ধূসর মেঘে। সারাদিন ঝরেছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। যেন বর্ষাকাল। অসময়ের এ বৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। বিশেষ করে আলুচাষিদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পাকা আমন ধান ও শীতকালীন সবজিরও। এর আগেও গত ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন চাষিরা। ফলে বারবার দুর্যোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবেই গতকাল দিনভর বৃষ্টি ঝরেছে ঢাকায়। সকালে বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হয়েই বিপাকে পড়েন অফিসগামী এবং জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষ। শুধু রাজধানী নয়, একই অবস্থার কথা জানা গেছে দেশের বেশির ভাগ এলাকায়। আবহাওয়া বিভাগের গত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গতকাল ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৪ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যশোরে ৯৬ মিলিমিটার। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তরের শহর তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ক্রমে ঘনীভূত হয়ে ২ ডিসেম্বর নিম্নচাপে এবং পরের দিন গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। যা এক সময় পরিণত হয় মিগজাউম নামের ঘূর্ণিঝড়ে। গত ৫ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানে। এখন ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, মিগজাউম এখন দুর্বল হয়ে ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে সরে গেছে। তবে তার প্রভাব যে একেবারে কাটেনি, এর প্রমাণ এই মেঘ-বৃষ্টি।

আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, এই বৃষ্টি আজ শুক্রবার তেমন থাকবে না। রোববার থেকে মেঘ কেটে মুখ দেখাবে সূর্য। ধরণি রোদের স্পর্শ পেলেও শুরু হবে শীতের প্রভাব। তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যাবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা তারপর আপাতত নেই। তাপমাত্রা ক্রমেই কমতে কমতে জেঁকে বসবে শীত। এবার শীত খানিকটা দেরিতেই আসছে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবেই আবহাওয়ায় শীতের প্রভাব কম পড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, আজ শুক্রবার বৃষ্টি অনেকটাই কমে যাবে। হয়তো দু-এক জায়গায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে রাজধানীর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে অনেকের আলুর বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। মুন্সীগঞ্জের এক চাষি জানান, এক সপ্তাহ আগে আলুর বীজ রোপণ করেছিলেন তিনি। বৃষ্টির কারণে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাঁর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারকান্দি এলাকার আমজাদ বেপারি জানান, নভেম্বরের মাঝামাঝি আলু চাষ করেন। মিধিলির জন্য সে সময় আলু চাষ করে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে ধারদেনা করে আবার আলু লাগিয়েছিলেন। কিন্তু এখন আবার বৃষ্টিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁর।

উত্তরাঞ্চলের কৃষিভান্ডারখ্যাত গাইবান্ধায় এবারও বিস্তীর্ণ জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এখনও কোথাও কোথাও দুলছে সোনালি ধানের শীষ। আবার কেউ ধান কেটে ফেলে রেখেছেন জমিতে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। অগ্রহায়ণের এই অকাল বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় তাই দুশ্চিন্তায় কৃষক। তারা জানান, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে পরিপক্ব ধান গাছগুলো নুয়ে পড়েছে মাটিতে। আবার কেটে জমিতে ফেলে রাখা ধানের নিচে জমেছে পানি।

]]>
২০৩৪ বিশ্বকাপেও মেসিকে চান ফিফা সভাপতি https://thedailycumilla.com/?p=867 https://thedailycumilla.com/?p=867#respond Thu, 23 Nov 2023 07:01:12 +0000 http://tdi_188_b85

ক্যারিয়ারে একটাই অপূর্ণতা ছিল আর্জেন্টিনা তারকা লিওনেল মেসির। গত ডিসেম্বরে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্নও পূরণ হয়েছে আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকরের। এরপর মেসি জানিয়েছিলেন, তার জীবনে চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই।

মেসির এমন বক্তব্যের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর অবসরে যাবেন মেসি। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পত মত পাল্টে ফেলেন আর্জেন্টাইন এই তারকা। মেসি বলেছিলেন, ‘যতদিন ফুটবলকে উপভোগ করছি, ততদিনই খেলব। এখন আমার লক্ষ্য ২০১৪ কোপা আমেরিকা। আর পরের বিশ্বকাপে খেলব কি না সেটা সময় বলবে।’

মেসির বর্তমান বয়স ৩৬। জাতীয় দল কিংবা ক্লাব ফুটবল সবখানেই সমানতালে লড়ে যাচ্ছেন তিনি। ২০২৬ বিশ্বকাপে তার বয়স দাঁড়াবে ৩৯ বছরে। এই বয়সে এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারবেন কি না, অথবা ফিট থাকবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। মেসিও নিজেও অতদূর ভাবছেন না, তার ভাবনায় এখন শুধু কোপা আমেরিকা।

তবে ফিফা সভাপতির চাওয়াটা অসম্ভবের শামিল। তিনি মেসিকে ২০৩৪ বিশ্বকাপ আসরেও দেখতে চান। মজাচ্ছলেও অবশ্য সেটা তিনি বলতে পারেন। মেসিকে বিশ্বকাপে দেখতে চাওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ইনফান্তিনো বলেন, ‘পরবর্তী আসর, তার পরের বিশ্বকাপ এবং ২০৩৪ সালেও (দেখতে চাই)। যতদিন পর্যন্ত সে (মেসি) খেলতে চায়!’

ফিফা সভাপতির এই চাওয়া যদিও তার একার নয়, বরং অনেক অনেক ভক্তেরও। তবে কোপা আমেরিকার পরই হয়তো যানা যাবে মেসি খেলবেন কি না। এই সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি নিজেই।

]]>
https://thedailycumilla.com/?feed=rss2&p=867 0
১৬ বছর বয়সেই পাঁচ যুদ্ধের সাক্ষী গাজার শিশুরা https://thedailycumilla.com/?p=865 https://thedailycumilla.com/?p=865#respond Thu, 23 Nov 2023 07:01:12 +0000 http://tdi_187_852 ইসরায়েলি বর্বরতা; উপত্যকার তিন জেলায় তীব্র লড়াই

কী নির্মম ভাগ্য গাজা উপত্যকার শিশুদের! বর্তমানে যে শিশুর বয়স ১৬ বছর, সে ইতোমধ্যেই নিজ ভূমিতে পাঁচবার ইসরায়েলি আগ্রাসন দেখেছে। সাক্ষী হয়েছে অকল্পনীয় মৃত্যু, ধ্বংসযজ্ঞ ও বিভীষিকার।

২০০৭ সালে ইসরায়েল গাজার ওপর স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ অবরোধ আরোপ শুরু করে। তার পর থেকে এই উপত্যকায় অন্তত পাঁচটি বড় ধরনের অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি।

২০০৮ সালে যে শিশুর বয়স ছিল মাত্র এক বছর, সে তখনই ২২ দিনের বিধ্বংসী বিমান এবং স্থলযুদ্ধে বেঁচে গেছে। ইসরায়েলের ওই ‘অপারেশন কাস্ট লিডে’ ৩২০ শিশুসহ প্রায় ১ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

বেঁচে যাওয়া ওই শিশুরাই পাঁচ বছর বয়সে ২০১২ সালে আট দিনের ইসরায়েলি হামলার প্রত্যক্ষদর্শী হয়। এতে ৩০ শিশুসহ ৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়।

২০১৪ সালে সাত বছর বয়সে সেই শিশুরা ৫০ দিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনের সাক্ষী হয়। সেই সময় ৫৫১ শিশুসহ অন্তত ২ হাজার ৩১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়।

১৪ বছর বয়সে ২০২১ সালে কৈশোরে তারা ১১ দিন স্থায়ী ইসরায়েলি হামলার মুখোমুখি হয়। এতে ৬৭ শিশুসহ ২৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইহুদিবাদী সেনারা।

বর্তমানে ১৬ বছর বয়সে গাজায় শিশুরা অন্তত ১০০ বছরের মধ্যে বিশ্বের বর্বরতম ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ দেখছে। এ হামলায় ৭ হাজারের বেশি শিশুসহ অন্তত ১৭ হাজার ১৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অবরুদ্ধ এ জনপদে ইসরায়েলি আগ্রাসন গতকাল বৃহস্পতিবার তৃতীয় মাসে গড়িয়েছে। ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এর মধ্যে গাজার সবচেয়ে বড় তিনটি শহর এবং তার আশপাশে গতকাল ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে ভারী যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বিমান শক্তি, ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া বুলডোজারের সহায়তায় ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনিস, গাজা সিটি এবং উত্তরের জাবালিয়া জেলায় হামলা চালায়। হামাস যোদ্ধারাও পাল্টা জবাব দেন। এতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরও তিন সেনা নিহত হয়েছে বলে দেশটি ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্তত ৪১৪ সদস্য মারা গেছে।

দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বৃহস্পতিবার বলেছে, গাজা ধ্বংসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সহযোগী’। সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলের দুই মাসের যুদ্ধ ধ্বংস, বিপদ, এবং বেসামরিক সন্ত্রাস এবং এমন মাত্রায় দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, সমগ্র ছিটমহলজুড়ে কোনো মানবিক প্রতিক্রিয়াও অসম্ভব করে তুলেছে। এই ‘দুঃস্বপ্ন’ উন্মোচিত হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এবং বিশেষ করে ইসরায়েলের সমর্থকদের সমালোচনা করেছে অক্সফাম। অক্সফামের মানবিক পরিচালক মার্টা ভালদেস গার্সিয়া বলেছেন, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা ব্যর্থ হচ্ছেন।

সূত্র: আলজাজিরা ও এএফপি।

]]>
https://thedailycumilla.com/?feed=rss2&p=865 0
১৪ ঘণ্টায় ৮০০ ভূমিকম্প https://thedailycumilla.com/?p=863 https://thedailycumilla.com/?p=863#respond Thu, 23 Nov 2023 07:01:12 +0000 http://tdi_186_1e6 ১৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮০০ ভূমিকম্প অনুভূত হলো ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভীয় অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ডে। শনিবার ভূমিকম্পের ব্যাপকতায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। অধিকাংশ ভূমিকম্প হয়েছে রাজধানী রিকজাভিক ও আশপাশের এলাকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপদ্বীপ রেইকজানেসে। কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও বেশ কিছু বাড়িঘর ধসে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়।

আইসল্যান্ডের আবহাওয়া সংস্থা (আইএমও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২। রেইকজানেসের উপকূলীয় শহর গ্রিন্ডাভিকে রেকর্ড করা হয়েছে এ ভূকম্পটি।

ভূমিকম্পে গ্রিন্ডাভিকের বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া শহরের প্রধান কয়েকটি সড়কও দেবে গেছে। শহরটিতে উদ্ধার কাজ চলছে।

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য ভূমিকম্প অব্যাহত থাকতে পারে। সামনে আরও বড় মাত্রার ভূমিকম্প আসতে পারে। অগ্ন্যুৎপাতেরও আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মানুষকে।

আইএমওর রেকর্ড অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত আইসল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় মোট ২৪ হাজার ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।

আইসল্যান্ডে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এখানে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সংখ্যা ৩৩।

]]>
https://thedailycumilla.com/?feed=rss2&p=863 0
ফুলকপি না বাঁধাকপি: কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী? https://thedailycumilla.com/?p=861 https://thedailycumilla.com/?p=861#respond Thu, 23 Nov 2023 07:01:12 +0000 http://tdi_185_155
শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে মৌসুমি শাকসবজিতে বাজার ভরে যায়। শীতের সবজির মধ্যে ফুলকপি-বাঁধাকপি পুষ্টিগুণ ও স্বাদের জন্য সবারই পছন্দের। তবে এই দুই সবজির মধ্যে কোনটি পুষ্টিগুণে সেরা তা নিয়ে নানা তথ্য জানানো হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে।

পুষ্টির মান
ফুলকপি এবং বাঁধাকপি,দুটিই ভিটামিন এবং ফোলেট সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি। ফুলকপিতে ভিটামিন সি, কে এবং বি৬ রয়েছে, অন্যদিকে বাঁধাকপিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন সি এবং কে রয়েছে। ফাইবারের ভালো উৎস হওয়ায় বাঁধাকপি হজমে সহায়তা করে।

ক্যালরি উপাদান
যারা ক্যালোরি গ্রহণের ব্যাপারে সচেতন তারা ফুলকপি এবং বাঁধাকপি খেতে পারেন। কম কম-ক্যালোরি সম্পন্ন এসব সবজি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে বাঁধাকপির তুলনায় ফুলকপিতে ক্যালোরির পরিমাণ কিছুটা কম।

ক্যান্সার প্রতিরোধক যৌগ
ফুলকপি এবং বাঁধাকপিসহ ক্রুসিফেরাস শাকসবজিতে ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যে রয়েছে। এসব সবজিতে উপস্থিত সালফোরাফেন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়। নিয়মিত ফুলকপি এবং বাঁধাকপি খেলে কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফুলকপি এবং বাঁধাকপি দুটিই উপকারী । ফুলকপিতে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, অন্যদিকে বাঁধাকপিতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য
ফুলকপি এবং বাঁধাকপিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মানসিক চাপ কমায় এবং প্রদাহজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফুলকপি এবং বাঁধাকপিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধের ঢাল হিসাবে কাজ করে, ক্ষতিকারক অণুগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ফুলকপি এবং বাঁধাকপি খেলে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

]]>
https://thedailycumilla.com/?feed=rss2&p=861 0
আজকাল সম্পর্ক স্থায়ী হয় না যেসব কারণে https://thedailycumilla.com/?p=859 https://thedailycumilla.com/?p=859#respond Thu, 23 Nov 2023 07:01:12 +0000 http://tdi_184_0e8 মানুষের অস্তিত্বের মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে সম্পর্ক। আজকাল দেখা যাচ্ছে, খুব সহজেই সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। ডেটিং অ্যাপের প্রসার, যোগাযোগের সহজ মাধ্যম, ঘন ঘন ডেটিংয়ের সত্ত্বেও বহু সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এমন প্রবণতার পেছনে কারণ কি?

সংবাদসংস্থা আইএএনএস-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ভারতীয় ম্যাচমেকার সিমা তাপারিয়া বলেছেন, ‘উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে কারও কথা শোনার প্রবণতা কম। নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তাদেরকে অন্যদের মতামত বা কথা শুনতে উৎসাহিত করে না ‘।

ম্যাচমেকার সিমার মতে, একটি সফল সম্পর্কের জন্য ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আজকের প্রজন্মের মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্যের অভাব রয়েছে। ধৈর্য যেকোন ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আজকাল সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে।

প্রতিশ্রুতির ভয়: আজকাল সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল প্রতিশ্রুতির ভয়। দ্রুতগতির এই বিশ্বে, যেখানে সবকিছুই সবার হাতের নাগালে তাই একজনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার ভয় তৈরি হয়েছে। অনেকেই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়াকে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করে।

যোগাযোগের অভাব: যোগাযোগ যে কোনো সফল সম্পর্কের চাবিকাঠি। আজকের ডিজিটাল যুগে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজ আদান প্রদানের সাথে সাথে মুখোমুখি কথোপকথনের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। যোগাযোগ করার জন্য বেশিরভাগ মানুষই এই প্ল্যাটফর্মগুলির উপর নির্ভর করছে।

অবাস্তব প্রত্যাশা: আজকের সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডেটিং অ্যাপের বিশ্বে, মানুষ একটি নিখুঁত সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে অবাস্তব সব প্রত্যাশা করছে। যার ফলে, তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে হতাশা এবং অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রচেষ্টার অভাব: একটি সফল সম্পর্কের জন্য উভয়েরই প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জ বা দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হলেই তারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে নতুন সঙ্গী খোঁজার সহজলভ্যতাও সহজে সম্পর্ক ভাঙাকে উৎসাহিত করছে।

অসঙ্গতি: আজকাল সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হল দুজনের মধ্যে বোঝাপড়ার সমস্যা। অনলাইন ডেটিংয়ের ক্ষেত্রে একজন আরেকজনকে না বুঝেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন অসঙ্গতি পাওয়ায় সম্পর্ক ভেঙ্গে যাচ্ছে।

]]>
https://thedailycumilla.com/?feed=rss2&p=859 0
মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, আর কিছু চাওয়ার নেই: রুনা লায়লা https://thedailycumilla.com/?p=857 https://thedailycumilla.com/?p=857#respond Thu, 23 Nov 2023 07:01:12 +0000 http://tdi_183_b4e জীবনের ৭১ বছর পূর্ণ করা এই শিল্পীর শুধু চাওয়া, আরো কিছু ভালো গান যেন গেয়ে যেতে পারেন।

পাঁচ দশকের বেশি সময়ের সংগীত ক্যারিয়ারে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান তিনি কণ্ঠে তুলেছেন, সুরের জাদুতে বশ করেছেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান। জীবনের ৭১ বছর পূর্ণ করা এই শিল্পীর শুধু চাওয়া, আরো কিছু ভালো গান যেন গেয়ে যেতে পারেন।

জন্মদিন নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানান রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “সারাজীবন এত মানুষের শ্রদ্ধা, আশীর্বাদ, দোয়া, ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না।

“আর কিছু চাওয়ারও নেই। আলহামদুল্লিাহ, অনেক পেয়েছি। আল্লাহ যেন সুস্থ রাখে, ভালো কিছু গান যেন গাইতে পারি।”

Runa Laila

চার বছর বয়সে নাচ শিখতেন রুনা লায়লা। তখন বড় বোন দীনা লায়লাকে গান শেখাতে যে উস্তাদ আসতেন, খেলার ফাঁকে তার কাছেই একটু একটু গানের তালিম নেওয়া শুরু। সেই শিক্ষকই রুনাকে গান শেখানোর পরামর্শ দিলেন। এরপর শুরু হয় রুনা লায়লার জীবনের নতুন অধ্যায়।

অল্প বয়সেই সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন, একে একে প্রকাশ হতে থাকে গানের অ্যালবাম। রুনা লায়লা হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি শিল্পী, উপমহাদেশীয় সংগীত জগতের এক বিস্ময়কর নাম।

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। শুধু গান নয়, চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে রুনা লায়লার জন্ম। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী। রুনা লায়লা তাদের দ্বিতীয় সন্তান। মামা সুবীর সেনও ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী।

বাবার বদলির চাকরির কারণে আড়াই বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাজশাহী থেকে পাকিস্তানের মুলতানে চলে গিয়েছিলেন। শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। সেখানেই উচ্চাঙ্গ সংগীতে দীক্ষা নেন ওস্তাদ হাবিব উদ্দিন খান ও আবদুল কাদের পিয়ারাংয়ের কাছে। গজলে দীক্ষা পান পণ্ডিত গোলাম কাদিরের (মেহেদি হাসানের ভাই) কাছে।

রুনা সিনেমায় প্লেব্যাক শুরু করেন কিশোরী বয়স থেকেই । উর্দু গানের বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে গাইতেন। ‘জুগনু’ ছবি দিয়ে ১৯৬৫ সালে তার প্লেব্যাক ক্যারিয়ার শুরু হয়। আর বাংলা ছবিতে গান গাওয়া শুরু করেন সুবল দাসের সুরে ‘স্বরলিপি’ ছবিতে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রায় এক হাজার গান রেকর্ড হয়ে যায় তার।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আসেন রুনা। সে সময় ভারতে বড় তিনটি কনসার্টে গান পরিবেশন করে সে দেশের দর্শকদের কাছেও সমাদৃত হন। বিশেষ করে ‘দমাদম মাস্ত কলন্দার’ গানটির জন্য ভারতে আলাদা পরিচিতি পান তিনি। ভারতের দুই কিংবদন্তী সংগীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলের সঙ্গেও সখ্য হয়।

বাংলা-হিন্দি-উর্দু ছাড়াও গুজরাটি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পশতু, বেলুচ, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালীয়, স্প্যানিশ, ফরাসি ও ইংরেজিসহ ১৮টি ভাষার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রুনা। ক্যারিয়ার জুড়ে পেয়েছেন নানা পুরস্কার।

বাংলাদেশ সরকার এই শিল্পীকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া ভারতে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে তার ঝুলিতে এসেছে নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কার।

]]>
https://thedailycumilla.com/?feed=rss2&p=857 0