গত শুক্রবার কুমিল্লার বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়- একদিনের ব্যবধানে শনিবার বিকেলে সেই পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি ধরে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবর প্রকাশ হওয়ার পর একদিনের ব্যবধানে কুমিল্লার বাজারে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন পেঁয়াজ। তাদের এ প্রবণতা ঠেকাতে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা দরকার।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) কুমিল্লা রাজগঞ্জ বাজার, নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০টাকা। কেউ কেউ এর থেকে বেশি দামেও বিক্রি করছে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা সোহাগ বলেন, পাইকারি বাজারে কোনো পেঁয়াজ নেই, ভারত পেঁয়াজ আমদানি করা বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে পেয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে। আমরা বিক্রেতারা আজকে পেয়াজ আনতে গিয়ে হতাশ হয়ে গেলাম শুক্রবারে পাইকারি বাজারে গিয়ে ১০৫ টাকা করে পেঁয়াজ কিনলাম আজকে গিয়ে ১৬০ -১৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, সকালবেলা ১৬০-১৭০ টাকা দরে চকবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করেছে পাইকারী ব্যবসায়ীরা। বিকেলবেলা গিয়ে দেখি ২০০টাকা চায়। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোন সিলিপ দিতে চায় না। তাই আজকে আমি পেঁয়াজ বিক্রি করা বন্ধ রেখেছি।
অন্যাদিকে হঠাৎ করে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বাজারে গিয়ে দেখা গিয়েছে অনেক পেঁয়াজ কিনতে এসে পেঁয়াজের দাম শুনে না কিনে চলে যাচ্ছে।।
পেঁয়াজ কিনতে এসে খোকন বলেন, প্রতি কেজি ২০০ টাকা দামে পেঁয়াজ কিনে খাওয়াটা অসম্ভব। আগে পেঁয়াজ কিনতাম প্রতি কেজি ১১০ টাকায় আজকে ২০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে শুনে আমি আর কিনি নাই। এখন হয়তো কয়েকদিন পেঁয়াজ ছাড়া না খেয়ে থাকতে হবে।
ক্রেতা হিজবুল্লাহ বলেন, পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । যদি এই অবস্থা চলে তাহলে আমাদের মত সাধারন মানুষরা পেঁয়াজ কিনে খেতে খুব কষ্ট হবে । গতকাল পেঁয়াজের ১৩০ করে বিক্রি হয়েছে আজ ২০০ করে বিক্রি হচ্ছে নির্বাচনের আগে যদি এই অবস্থা হয় নির্বাচন চলকালীন কি হবে। যদি প্রশাসনের পেঁয়াজের দামের বিষয় কঠোর নজরদারি করে তাহলে হয়তো কিছুটা দাম কমবে।