মানুষের অস্তিত্বের মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে সম্পর্ক। আজকাল দেখা যাচ্ছে, খুব সহজেই সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। ডেটিং অ্যাপের প্রসার, যোগাযোগের সহজ মাধ্যম, ঘন ঘন ডেটিংয়ের সত্ত্বেও বহু সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এমন প্রবণতার পেছনে কারণ কি?
সংবাদসংস্থা আইএএনএস-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ভারতীয় ম্যাচমেকার সিমা তাপারিয়া বলেছেন, ‘উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে কারও কথা শোনার প্রবণতা কম। নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তাদেরকে অন্যদের মতামত বা কথা শুনতে উৎসাহিত করে না ‘।
ম্যাচমেকার সিমার মতে, একটি সফল সম্পর্কের জন্য ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আজকের প্রজন্মের মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্যের অভাব রয়েছে। ধৈর্য যেকোন ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আজকাল সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে।
প্রতিশ্রুতির ভয়: আজকাল সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল প্রতিশ্রুতির ভয়। দ্রুতগতির এই বিশ্বে, যেখানে সবকিছুই সবার হাতের নাগালে তাই একজনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার ভয় তৈরি হয়েছে। অনেকেই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়াকে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করে।
যোগাযোগের অভাব: যোগাযোগ যে কোনো সফল সম্পর্কের চাবিকাঠি। আজকের ডিজিটাল যুগে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজ আদান প্রদানের সাথে সাথে মুখোমুখি কথোপকথনের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। যোগাযোগ করার জন্য বেশিরভাগ মানুষই এই প্ল্যাটফর্মগুলির উপর নির্ভর করছে।
অবাস্তব প্রত্যাশা: আজকের সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডেটিং অ্যাপের বিশ্বে, মানুষ একটি নিখুঁত সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে অবাস্তব সব প্রত্যাশা করছে। যার ফলে, তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে হতাশা এবং অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রচেষ্টার অভাব: একটি সফল সম্পর্কের জন্য উভয়েরই প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জ বা দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হলেই তারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে নতুন সঙ্গী খোঁজার সহজলভ্যতাও সহজে সম্পর্ক ভাঙাকে উৎসাহিত করছে।
অসঙ্গতি: আজকাল সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হল দুজনের মধ্যে বোঝাপড়ার সমস্যা। অনলাইন ডেটিংয়ের ক্ষেত্রে একজন আরেকজনকে না বুঝেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন অসঙ্গতি পাওয়ায় সম্পর্ক ভেঙ্গে যাচ্ছে।